Saturday, April 14, 2018

রামপুরের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা।

রামপুরের অর্থনৈতিক অবস্থাঃ

আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো এই কথাটা যে কেউ সহজে মেনে নিবেন। বরং যদি বলা হয় আমরা এখনও অর্থনৈতিক ভাবে দূর্বল তাহলে অনেকে মেনে নিবেন না। আজ থেকে প্রায় ৩৫-৪০ বছর আগে রামপুরের সবচেয়ে ধনবান ব্যাক্তিটি তার সন্তানের জন্য একটা ইংলিশ প্যান্ট কিনতে কয়েকবার চিন্তা করতো। যারা আমার মুরব্বি তারা আমার চেয়ে অনেক ভালো জানেন। আপনাদের কাছে গল্প শুনে শুনে আমার এই ধারনা, কারন তখনও আমার জন্ম হয়নি। কিন্তু যদি আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগের অর্থনৈতিক অবস্থা দেখি, আমার স্পষ্ট মনে

কোটা নিয়ে ঝামেলার মূলে আছে গরীব বাবারা।



আমি যখন ছোট ছিলাম ক্লাশ টু থ্রি পড়ি আমাকে ভালভাবে পড়াশুনা করার জন্য প্রায় তাগিদ দেওয়া হতো আমার বাবা অল্প শিক্ষিত আমার ভাল করার জন্য তার কিছু পদক্ষেপ খুবই অমানান তবে কিছু পদক্ষেপ খুবই মানানসহ ছিল যেমন ক্লাশ টুতে (ঠিক মনে নাই থ্রিও হতে পারে) পড়া অবস্থায় ঘোষনা দিলেন টু পাশ করলে আমাকে একটা

সরকারী প্রাইমারী স্কুলের, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির দ্বায়িত্ব কি?


শিক্ষাই একমাত্র একটা জাতির, একটা গোষ্ঠীর, একটা পরিবারের, একজনের উন্নতির অন্যতম হাতিয়ার। জাতিকে যদি ইমারত হিসেবে কল্পনা করা হয়, তাহলে ঐ ইমারতের ভিত্তি মজবুত করা খুবই বেশী জরুরি। প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে জাতির ইমারতের ভিত্তি যে জাতির প্রাথমিক শিক্ষা যত বেশি মজবুত হবে ঐ জাতি তত বেশি টেকসই হবে। ইমারতের ভিত্তি যদি নড়েবড়ে হয়, তাহলে যে কোন সময় রানা প্লাজার মতো ধস করে পড়ে গিয়ে সব শেষ করে, নিঃস্ব হয়ে পড়তে হবে। প্রাথমিক শিক্ষাকে মজবুত করতে হলে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত, সুশৃঙ্খল করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা কতটুকু মজবুত তা একটু দেখে আসা যাক।

আমিও ডায়বেটিক আক্রান্ত।


ডায়বেটিক এখন পাড়ায় পাড়ায়, মহলায় মহল্লায়। তার চাইতে বেশী, বাড়ী বাড়ী। তার চাইতে বেশী বলা যায়, জনে জনে। গত কয়েকদিন আগে টিভিতে দেখলাম, নয় বছরের শিশুরও ডায়বেটিক। তাহলে বুঝা যায় শিশু হতে বৃদ্ধা জনে জনে ডায়বেটিক।
আমিও ডায়বেটিক আক্রান্ত। ডায়বেটিক আমাকেও ছুটি দিল না।
ডায়বেটিক এর সমস্ত লক্ষন আমার মধ্যে (ঘন ঘন প্রসাব, ঘন ঘন পিপাসা, ঘন ঘন ক্ষুদা ইত্যাদি)। কিন্তু আমি ডায়বেটিক চেক আপ করছি না। কারন আমি অনেক দিন বাচতে চাই। শুধু অনেক দিন নয়, অনেক আশা নিয়ে বাচতে চাই, অনেক আনন্দের সহিত বাচতে চাই। আনন্দের সহিত বাচতে না পারলে সে বাচা আর বাচা থাকে না। আধা বাচা বা আধা মরা হয়ে থাকতে চাই না। এটাই আমার চেক আপ না করার কারন।
চেক আপ করলে আমি যদি নিশ্চিত হই, হ্যা আমি ডায়বেটিক আক্রান্ত, সত্যি আমার ডায়বেটিক। সত্যি টা আমার জন্য আপদ। এই নিশ্চিত হওয়াটাই আমার ইচ্ছা শক্তি দমিত করবে। আমি হয়ে যাব নিশ্চিত রোগী। নিশ্চিত রোগীর চাইতে সন্দেহ রোগী, খারাপ কিসে। আর নিশ্চিত রোগী এটাই আমাকে মৃত্যূর দিকে টেনে নিয়ে যাবে। 

কে চাই এত সহজে মরতে।